বরিশাল প্রতিনিধি | সময় খবর ডেস্ক
২ আগস্ট ২০২৫
লিটু শিকদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর নানা অভিযোগ ছিল—
-
চাঁদাবাজি
-
হুমকি-ধামকি
-
দখলবাজি
-
রাজনৈতিক সন্ত্রাস
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে তিনি গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যু নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে এটিকে ন্যায়বিচার হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ আইনের শাসন ব্যতীত এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এক সময় পুরো এলাকায় আতঙ্কের নাম ছিল লিটু শিকদার। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, হুমকি-ধমকির মতো অপরাধে জড়িত ছিল সে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা ছিল, কিন্তু রহস্যজনকভাবে বারবার পার পেয়ে যেত এই সন্ত্রাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লিটু শিকদার প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষকে হত্যার হুমকি দিত এবং জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করত। দোকানদার, রিকশাচালক, এমনকি স্কুলপড়ুয়া ছেলের কাছ থেকেও সে টাকা চাইত।
বলা হয়ে থাকে, সে রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিল না — বরং নিজের ক্ষমতা জাহির করতেই এইসব অপকর্ম চালিয়ে যেত।
তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
অবশেষে, এলাকাবাসীর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ে। তারা আর সহ্য করতে না পেরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
গতকাল জনরোষের শিকার হয়ে লিটু শিকদার নিহত হয়। এলাকাবাসীর বক্তব্য, "আইন আমাদের রক্ষা করেনি, আমরা নিজেদের রক্ষা করেছি।"
এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লিটু শিকদারের মৃত্যু হয়তো একজন অপরাধীর পরিণতি, তবে এটা আমাদের সমাজকে একটা বার্তা দেয় —
অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক হলে অন্যায় থামে।
অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, একদিন জনগণের রোষেই শেষ হয় তার পথচলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
#লিটুশিকদার #বরিশালসংবাদ #চাঁদাবাজি #অপরাধ #জনরোষ
0 Comments