বুধবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
জুলাই আন্দোলনে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পলাতক আট আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। আগামী ২৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই মামলার ১৬ আসামির মধ্যে পলাতক রয়েছেন আটজন। আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজির পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে আজ বুধবার প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর মো: সাইমুম রেজা তালুকদার।
এর আগে, আজ সকালে এ মামলায় গ্রেফতার আট আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
আদালতে হাজির হওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো: আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো: শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল।
গত ২ জুলাই এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। ওই দিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মো: সাইমুম রেজা তালুকদার।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগের সাথে অন্যান্য তথ্যসূত্র হিসেবে ৩১৩ পৃষ্ঠা, ৬২ সাক্ষী, ১৬৮ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণাদি ও দু’টি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়েছে। পরে এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ছয় তরুণ। এরপর পুলিশ ভ্যানে তাদের লাশ তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
প্রসিকিউশন জানায়, নৃশংস এ ঘটনার সময় একজন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তাকেও বাঁচতে দেওয়া হয়নি। পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত মানুষকেই পুড়িয়ে মারা হয়।
এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। সূত্র : ইউএনবি
সকল ধরনের নিউজ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ
0 Comments